স্মৃতিকে যারা আজ পরীমনি বানিয়েছেন, তাঁরা এখন কোথায়?

আমি কোনো দিন পরীমনিকে কাছ থেকে দেখিনি। ইদানীং নানা মাধ্যমে তাঁকে দেখার সুযোগ হচ্ছে। এত সুন্দরী মেয়ে অনেক দিন বাংলা সিনেমায় আসেনি। আসলেই তিনি পরী। সেই সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে যাঁরা তাঁর কাছে ভিড়েছেন, তাঁরাই পরীমনিকে বিপথে নিয়ে গেছেন। তাঁরা পরীমনির সৌন্দর্যকে শিল্পসৃষ্টির কাজে লাগাননি। আজকের এই পরিণতির সেটাই হলো প্রধান কারণ।
পরীমনি ছিলেন অভিভাবকহীন। এই সুযোগও অনেকে নিয়েছেন। অনেকে হয়তো বলবেন, শুধু কি অন্যরাই বিপথে নেওয়ার জন্য দায়ী? তাঁরও কি বিচার-বিবেচনা থাকা উচিত ছিল না? আমি বলব, জোর গলায় বলব, যে বয়সে পরীমনি চলচ্চিত্রে এসেছেন, সে বয়সে বিচার-বিবেচনা সবার থাকে না। বয়সটাই আসলে এমন। যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন, তাঁদের দায়িত্ব ছিল সঠিকভাবে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া।

ওই মা তো তাঁর মেয়েকে গড়ে তুলতে সিনেমার মানুষদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর চাওয়া ছিল, মেয়েটাকে সিনেমার মানুষেরা যেন ভালোভাবে কাজে লাগায়। কিন্তু কে তাঁর সামনে ইয়াবা ধরল? কে? কে মদের বোতল এনে দিল? রাতের পার্টিতে কে বা কারা নিয়ে গেল? এই করেই তো একটা সম্ভাবনাময় মেয়েকে বিপথে ঠেলে দেওয়া হয়।
গ্রামের সহজ-সরল সেই স্মৃতিকে কারা এ রকম পরীমনি বানিয়েছেন? যাঁরা করেছেন, তাঁরা আজ কোথায়? তাঁদের নাম তো কোথাও শোনা যাচ্ছে না। তাঁদের তো হাত বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে না পুলিশ!

লেখা: কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্রকার
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর